গেমার বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি জানি, নতুন গেমের খবর শুনলেই সবার চোখ চকচক করে ওঠে! বিশেষ করে ফার্স্ট পার্সন শুটার (FPS) গেমের উন্মাদনা তো অন্যরকম, তাই না?
আজকাল গেমের গ্রাফিক্স আর গল্পের ধারা এতটাই উন্নত হচ্ছে যে, মনে হয় যেন সত্যিই আমরা সেই দুনিয়ার অংশ হয়ে গেছি। আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর মতো শক্তিশালী প্রযুক্তি গেমের ভিজ্যুয়ালকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে যা আগে ভাবাই যেত না।আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখন কোনো নতুন FPS গেম আসে, তখন শুধু বন্দুক চালানো আর শত্রুদের শেষ করাই নয়, বরং গেমের ভেতরের কৌশল, টিমওয়ার্ক আর টানটান উত্তেজনাটাই আসল মজা। নতুন ব্যাটেল রয়্যাল মোড, কৌশলগত শুটার, এমনকি ক্লাসিক Doom-এর মতো ধুন্ধুমার অ্যাকশন—সবকিছু মিলিয়ে এই জেনারটা যেন প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে সাজাচ্ছে। সম্প্রতি, আমি দেখেছি Unrecord-এর মতো গেমগুলি বডি-ক্যাম স্টাইলের মাধ্যমে এক অন্যরকম বাস্তবতা নিয়ে আসছে, যা গেমারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরও অনেক চমকপ্রদ গেম আসার কথা, যা আমাদের গেমিং অভিজ্ঞতাকে একেবারেই বদলে দেবে। এসব গেমের রিলিজ ডেট, বিশেষ ফিচার আর কোন প্ল্যাটফর্মে কী থাকছে, তা জানতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে আছেন?
তাহলে, আর দেরি কেন? নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন, কোন FPS গেমগুলো আসছে, কী কী নতুনত্ব নিয়ে আসছে, আর আপনার পছন্দের তালিকায় কোনগুলো রাখা উচিত!
গেমার বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি জানি, নতুন গেমের খবর শুনলেই সবার চোখ চকচক করে ওঠে! বিশেষ করে ফার্স্ট পার্সন শুটার (FPS) গেমের উন্মাদনা তো অন্যরকম, তাই না?
আজকাল গেমের গ্রাফিক্স আর গল্পের ধারা এতটাই উন্নত হচ্ছে যে, মনে হয় যেন সত্যিই আমরা সেই দুনিয়ার অংশ হয়ে গেছি। আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর মতো শক্তিশালী প্রযুক্তি গেমের ভিজ্যুয়ালকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে যা আগে ভাবাই যেত না।আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখন কোনো নতুন FPS গেম আসে, তখন শুধু বন্দুক চালানো আর শত্রুদের শেষ করাই নয়, বরং গেমের ভেতরের কৌশল, টিমওয়ার্ক আর টানটান উত্তেজনাটাই আসল মজা। নতুন ব্যাটেল রয়্যাল মোড, কৌশলগত শুটার, এমনকি ক্লাসিক Doom-এর মতো ধুন্ধুমার অ্যাকশন—সবকিছু মিলিয়ে এই জেনারটা যেন প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে সাজাচ্ছে। সম্প্রতি, আমি দেখেছি Unrecord-এর মতো গেমগুলি বডি-ক্যাম স্টাইলের মাধ্যমে এক অন্যরকম বাস্তবতা নিয়ে আসছে, যা গেমারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরও অনেক চমকপ্রদ গেম আসার কথা, যা আমাদের গেমিং অভিজ্ঞতাকে একেবারেই বদলে দেবে। এসব গেমের রিলিজ ডেট, বিশেষ ফিচার আর কোন প্ল্যাটফর্মে কী থাকছে, তা জানতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে আছেন?
তাহলে, আর দেরি কেন? নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন, কোন FPS গেমগুলো আসছে, কী কী নতুনত্ব নিয়ে আসছে, আর আপনার পছন্দের তালিকায় কোনগুলো রাখা উচিত!
প্রতীক্ষিত FPS টাইটেলগুলো আসছে

নতুন FPS গেম মানেই গেমারদের মধ্যে এক দারুণ উত্তেজনা। ২০২৩ সাল থেকেই আমরা এমন অনেক দুর্দান্ত টাইটেলের ঘোষণা দেখেছি, যা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে রিলিজ পেতে চলেছে। আমার তো মনে হয়, এই গেমগুলো গেমিং দুনিয়ায় নতুন একটা ঢেউ নিয়ে আসবে। Call of Duty: Black Ops 6 সেই তালিকার একদম উপরের দিকে আছে, কারণ Call of Duty সিরিজের গেমগুলো সবসময়ই একটা অন্যরকম মান বজায় রাখে। এর টানটান স্টোরিলাইন আর মাল্টিপ্লেয়ার মোড বরাবরই মন ছুঁয়ে যায়। Witchfire-ও বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে, কারণ এর ডার্ক ফ্যান্টাসি সেটিং আর Roguelite এলিমেন্টস গেমপ্লেকে নতুন মাত্রা দেবে। এই গেমগুলো শুধু গ্রাফিক্স বা বন্দুকের ধরন নিয়ে আসে না, বরং নতুন গল্প, নতুন চ্যালেঞ্জ আর এমন কিছু অভিজ্ঞতা দেয় যা আমাদেরকে আরও গভীর ভাবে গেমিংয়ের জগতে ডুবিয়ে দেয়। আমার ব্যক্তিগতভাবে যখন কোনো নতুন CoD গেম আসে, তখন আমার বন্ধুরা আর আমি মিলে রাত জেগে মিশন শেষ করি আর মাল্টিপ্লেয়ারে ঘণ্টা পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিই। এবারের Black Ops 6-ও সেই উন্মাদনা আরও বাড়াবে বলে আমার বিশ্বাস। (Source: 1, 2, 3, 5)
Call of Duty: Black Ops 6-এর নতুন কী আছে?
এই গেমটি নিয়ে উন্মাদনা চরম পর্যায়ে। শোনা যাচ্ছে, Black Ops 6 তাদের চিরাচরিত যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আরও গভীর গল্প নিয়ে আসছে। আমি যখন প্রথম ট্রেলারটা দেখেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল যেন একটা সিনেমার অ্যাকশন সিকোয়েন্স দেখছি। গেমপ্লে মেকানিক্স আরও স্মুথ করা হয়েছে, এবং এর মাল্টিপ্লেয়ার মোডেও কিছু নতুনত্ব থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমি জানি, CoD ফ্যানরা সবসময়ই নতুন ম্যাপ আর অস্ত্রশস্ত্রের জন্য অপেক্ষা করে, আর Black Ops 6 সেই দিক থেকে হতাশ করবে না বলেই আমার ধারণা। আমার মনে হয়, তারা এবার আরও বেশি কৌশলগত দিক যোগ করবে, যা টিমওয়ার্ককে আরও বেশি গুরুত্ব দেবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি নতুন জম্বি মোডের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, কারণ Black Ops সিরিজের জম্বি মোডগুলো সবসময়ই অনন্য হয়।
Doom: The Dark Ages এবং Ferocious-এর ভয়ংকর দুনিয়া
যারা ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর দানবদের ধ্বংস করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য Doom: The Dark Ages হবে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। Doom সিরিজের গেমগুলো সবসময়ই তাদের দ্রুত গতির গেমপ্লে আর ভারী অস্ত্রের জন্য বিখ্যাত। আমার মনে আছে, Doom Eternal খেলার সময় প্রতিটি শট কতটা সন্তুষ্টি দিত!
The Dark Ages-ও সেই ঐতিহ্য ধরে রাখবে বলে মনে হচ্ছে, যেখানে মধ্যযুগীয় এবং ফ্যান্টাসি উপাদানগুলো মিলে এক নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা দেবে। অন্যদিকে, Ferocious একটি ডাইনোসরের যুগে সেট করা গেম, যা খেলোয়াড়দের অ্যাডভেঞ্চার আর সারভাইভালের এক দারুণ চ্যালেঞ্জ দেবে। এই ধরনের গেমগুলোতে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়া এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে টিকে থাকার কৌশলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। (Source: 2)
কৌশল ও টিকে থাকার লড়াই: নতুনত্বের ছোঁয়া
আজকাল শুধু বন্দুক নিয়ে দৌড়ানোই নয়, গেমে কৌশল আর টিকে থাকার ক্ষমতাও খুব জরুরি হয়ে উঠেছে। Unrecord এবং Bodycam-এর মতো গেমগুলো যেভাবে বাস্তবসম্মত বডি-ক্যাম স্টাইল নিয়ে আসছে, তা দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল যেন সত্যিই একজন পুলিশের হেলমেট-ক্যামেরা দিয়ে খেলা দেখছি!
এই নতুন মেকানিক্সগুলো গেমিংকে অন্য এক স্তরে নিয়ে গেছে, যেখানে প্রতিটি কোণার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপদ যেন আরও বাস্তব মনে হয়। (Source: 3) Gray Zone Warfare-এর মতো Tactical Extraction Shooter গুলো খেলোয়াড়দেরকে মিশন শেষ করার পাশাপাশি নিজেদের জিনিসপত্র সুরক্ষিত রেখে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ দেয়, যা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।
Unrecord এবং Bodycam: বাস্তবতার নতুন সংজ্ঞা
এই গেমগুলো তাদের বডি-ক্যাম দৃষ্টিকোণ দিয়ে গেমিং জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আমি যখন প্রথম Unrecord-এর ফুটেজ দেখেছিলাম, তখন আমার বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিলাম যে এটা কি আসল কোনো ফুটেজ নাকি গেম। গ্রাফিক্স এতই বাস্তবসম্মত যে পার্থক্য করা মুশকিল। গেমপ্লেতে খেলোয়াড়দেরকে খুব সতর্ক থাকতে হয়, কারণ এক মিনিটের ভুলই আপনাকে শেষ করে দিতে পারে। Bodycam-ও একই ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি বুলেট যেন বাস্তবতার কাছাকাছি। এই গেমগুলো খেলার সময় মনে হয় যেন একজন সৈনিকের বুটের শব্দও শুনতে পাচ্ছি, যা গেমে সম্পূর্ণভাবে ডুবে যেতে সাহায্য করে। এই ধরনের গেম খেললে অ্যাড্রেনালিন রাশ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক!
Gray Zone Warfare: কৌশলগত উত্তোলনের রোমাঞ্চ
Gray Zone Warfare একটি Tactical Extraction Shooter, যা খেলোয়াড়দেরকে শুধু লড়াইয়ের জন্য নয়, বরং বুদ্ধিমত্তা আর কৌশল ব্যবহার করে মিশন শেষ করার জন্য উৎসাহিত করে। এই ধরনের গেমগুলোতে টিকে থাকার জন্য টিমওয়ার্ক এবং নিজেদের লুণ্ঠিত সামগ্রী নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াটাই আসল চ্যালেঞ্জ। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এই ধরনের গেমগুলোতে ছোট ছোট ভুলও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই, প্রতিটি পদক্ষেপ ভেবেচিন্তে নিতে হয়। গেমের পরিবেশও এতটাই বাস্তবসম্মত যে প্রতিটি এনকাউন্টারেই একটি টানটান উত্তেজনা থাকে। (Source: 1)
অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর ক্ষমতা: ভিজ্যুয়াল বিপ্লব
বর্তমান গেমিংয়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫ (Unreal Engine 5)। এই ইঞ্জিন গেমের গ্রাফিক্সকে এতটাই উন্নত করেছে যে, মনে হয় যেন আমরা বাস্তব কোনো পরিবেশে প্রবেশ করেছি। Lumina, Nanite, Metahumans-এর মতো প্রযুক্তিগুলো গেমিং গ্রাফিক্সকে কল্পনার বাইরে নিয়ে গেছে। Lost Fragment, Industria 2, এবং Stalker 2 Heart of Chornobyl-এর মতো আসন্ন গেমগুলো এই ইঞ্জিনের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করছে, যা দেখে যেকোনো গেমারের মন মুগ্ধ হয়ে যাবে। আমার মনে আছে, যখন প্রথম Unreal Engine 5-এর ডেমো দেখেছিলাম, তখন বিশ্বাসই করতে পারিনি যে গেমের গ্রাফিক্স এতটা সুন্দর হতে পারে। (Source: 1, 2, 3, 13, 14, 20, 23, 25)
নেক্সট-জেন গ্রাফিক্সের দুনিয়ায়: Lost Fragment ও Industria 2
Lost Fragment এমন একটি গেম যা অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর ক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে। এর বিস্তারিত পরিবেশ, আলোর সঠিক ব্যবহার এবং বাস্তবসম্মত টেক্সচারগুলো গেমারদেরকে এক অন্যরকম ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেবে। Industria 2-ও এই ধারায় এগিয়ে আছে, যেখানে এক সাইন্স-ফিকশন জগতে খেলোয়াড়রা এক দারুণ রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের মুখোমুখি হবেন। এই গেমগুলোর ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি এতটাই ভালো যে, প্রতিটি দৃশ্যই যেন এক শিল্পকর্মের মতো মনে হয়। আমি নিশ্চিত, এই গেমগুলো খেলার সময় আমরা গ্রাফিক্স দেখে বারবার চমকে উঠব।
Stalker 2 Heart of Chornobyl: এক ভয়ংকর বাস্তবতার প্রতিফলন
Stalker 2 Heart of Chornobyl একটি পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপ্টিক পরিবেশে সেট করা গেম, যা অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। গেমের গ্রাফিক্স এতটাই ডিটেইলড যে চেরনোবিলের ভয়াবহ পরিবেশটা যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এই গেমটিতে ভয়ংকর মিউট্যান্ট এবং বিপজ্জনক অনিয়মের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। আমি জানি, এই ধরনের সার্ভাইভাল হরর গেমগুলো আমাকে কতটা টেনশনে রাখে। প্রতিটি পদক্ষেপে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, কারণ ভুল করলে মৃত্যুর হাতছানি। এই গেমটি শুধুমাত্র গ্রাফিক্সের জন্য নয়, এর গা ছমছমে পরিবেশ আর টানটান গল্পের জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। (Source: 3)
ব্যাটেল রয়্যাল এবং টিমভিত্তিক কৌশল
ব্যাটেল রয়্যাল জেনারটি এখনও গেমিং জগতে রাজত্ব করছে, এবং নতুন নতুন গেমগুলো এই ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করছে। Delta Force-এর মতো কৌশলগত শুটারগুলো মাল্টিপ্লেয়ারে দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ধরনের গেমগুলোতে একা বা বন্ধুদের সাথে মিলে খেলার মজাটাই অন্যরকম। (Source: 5) এছাড়াও, Killing Floor 3-এর মতো কো-অপ শুটার গেমগুলোও টিমওয়ার্কের গুরুত্ব বাড়ায়, যেখানে বন্ধুদের সাথে মিলে অসংখ্য দানবদের মোকাবেলা করতে হয়।
Delta Force: হক অপস – নতুন ব্যাটেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জ
Delta Force: Hawk Ops গেমটি ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি নতুন অধ্যায়, যা ব্যাটেল রয়্যাল এবং কৌশলগত মিশন উভয়ই নিয়ে আসছে। আমি যখন প্রথম Delta Force সিরিজের গেমগুলো খেলতাম, তখন এর বাস্তবসম্মত সামরিক অভিযানগুলো আমাকে মুগ্ধ করত। Hawk Ops-ও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা দেবে। এর মাল্টিপ্লেয়ার মোডগুলো আরও বেশি রোমাঞ্চকর হবে বলে আমার ধারণা, যেখানে খেলোয়াড়দেরকে নিজেদের কৌশল আর দক্ষতা ব্যবহার করে টিকে থাকতে হবে। এটি ফ্রি-টু-প্লে হবে, যা আরও বেশি খেলোয়াড়কে আকৃষ্ট করবে বলে মনে হয়। (Source: 5)
Killing Floor 3: দলগতভাবে দানব বধের উৎসব
Killing Floor 3 হল একটি কো-অপ ফার্স্ট পার্সন শুটার, যেখানে বন্ধুদের সাথে মিলে জম্বিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। এই সিরিজের গেমগুলো সবসময়ই তাদের ভয়ংকর দানব আর অস্ত্রের বিশাল সংগ্রহের জন্য পরিচিত। আমি এই সিরিজের আগের গেমগুলো অনেক খেলেছি, আর প্রতিবারই বন্ধুদের সাথে মিলে একসাথে কাজ করার মজাটা অনুভব করেছি। Killing Floor 3-ও একই রকম অভিজ্ঞতা দেবে, তবে আরও উন্নত গ্রাফিক্স এবং নতুন ধরনের দানবদের সাথে। দলগতভাবে খেলা এবং একে অপরের পাশে থেকে লড়াই করা এই গেমের আসল মজা। (Source: 2, 3)
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে FPS: বাস্তবতার কাছাকাছি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) গেমিং FPS জেনারকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। VR হেডসেট পরে যখন কোনো FPS গেম খেলা হয়, তখন মনে হয় যেন সত্যিই আমরা সেই গেমের ভেতরে আছি। Vail VR এবং FPS Enhanced Reality-এর মতো গেমগুলো VR-এ ফার্স্ট পার্সন শুটারের অভিজ্ঞতাকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলছে। (Source: 6, 7, 8, 10, 12) এই ধরনের গেমে চলাফেরা, গুলি চালানো, এবং শত্রুদের মোকাবেলা করা—সবকিছুই অন্যরকম অনুভূতি দেয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, VR FPS খেলার সময় অ্যাড্রেনালিন রাশ এতটাই বেশি হয় যে মনে হয় যেন সত্যিই যুদ্ধের ময়দানে আছি।
Vail VR: প্রতিযোগিতামূলক VR শুটারের ভবিষ্যত
Vail VR একটি প্রতিযোগিতামূলক VR FPS গেম, যা VR গেমিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের আশাবাদী করে তোলে। এই গেমে বাস্তবসম্মত গানপ্লে মেকানিক্স এবং গভীর কৌশলগত উপাদান রয়েছে, যা খেলোয়াড়দেরকে এক সত্যিকারের প্রতিযোগিতামূলক অভিজ্ঞতা দেবে। আমি যখন VR-এ FPS খেলি, তখন বন্দুকের রিকোয়েল আর চারপাশের শব্দগুলো এতটাই বাস্তব মনে হয় যে, মাঝে মাঝে ভুলে যাই এটা একটা গেম। Vail VR সেই অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে বলেই আমার ধারণা।
FPS Enhanced Reality: আপনার ঘরই যুদ্ধক্ষেত্র
Meta Quest প্ল্যাটফর্মে FPS Enhanced Reality গেমটি আপনার নিজের ঘরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। Mixed Reality প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই গেমটি আপনার চারপাশের পরিবেশের সাথে ভার্চুয়াল উপাদানগুলোকে মিশিয়ে দেয়, যা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়। কল্পনার করুন, আপনার বসার ঘরের ভেতরেই রোবট বা সৈনিকদের সাথে লড়াই করছেন!
এটা সত্যিই দারুণ একটা ব্যাপার, যেখানে গেমাররা নতুন ধরনের ইমার্সিভ অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। (Source: 7)
মোবাইল FPS গেমিং: হাতের মুঠোয় অ্যাকশন
মোবাইল গেমিং প্ল্যাটফর্মেও FPS গেমের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। স্মার্টফোনে উন্নত গ্রাফিক্স আর টাচস্ক্রিন কন্ট্রোলের মাধ্যমে এখন অনেক দারুণ FPS গেম খেলা যায়। Call of Duty: Mobile, Free Fire, PUBG Mobile-এর মতো গেমগুলো ইতিমধ্যেই মোবাইল গেমিংয়ে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। (Source: 21, 26, 27)
মোবাইল প্ল্যাটফর্মে FPS এর বিস্তার
মোবাইল FPS গেমগুলো এখন শুধু সময় কাটানোর জন্য নয়, বরং প্রতিযোগিতামূলক ই-স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও জনপ্রিয় হচ্ছে। নতুন নতুন গেমগুলো আরও উন্নত গ্রাফিক্স, স্মুথ গেমপ্লে এবং নতুন মোড নিয়ে আসছে, যা মোবাইল গেমারদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করছে। এই গেমগুলো খেলার সময় আমি প্রায়ই অবাক হয়ে যাই যে কীভাবে এত ছোট ডিভাইসে এত শক্তিশালী গ্রাফিক্স আর দ্রুত গেমপ্লে উপভোগ করা যায়।
| গেমের নাম | জেনর | প্রত্যাশিত রিলিজ | বিশেষ ফিচার |
|---|---|---|---|
| Call of Duty: Black Ops 6 | ফার্স্ট পার্সন শুটার | ২০২৪ (অক্টোবর) | গভীর স্টোরিলাইন, উন্নত মাল্টিপ্লেয়ার |
| Witchfire | ডার্ক ফ্যান্টাসি, Roguelite FPS | ২০২৪ (সেপ্টেম্বর) | ম্যাজিক ও বন্দুকের মিশ্রণ |
| Gray Zone Warfare | কৌশলগত নিষ্কাশন শুটার | ২০২৪ (এপ্রিল, Early Access) | বাস্তবসম্মত কৌশল, PvPvE |
| Stalker 2 Heart of Chornobyl | পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপ্টিক সার্ভাইভাল FPS | ২০২৫ | অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫ গ্রাফিক্স, গা ছমছমে পরিবেশ |
| Delta Force: Hawk Ops | ব্যাটেল রয়্যাল, ট্যাকটিক্যাল শুটার | ২০২৫ | ফ্রি-টু-প্লে, সামরিক অভিযান |
আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকা: যা নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত
FPS গেমের এই বিশাল দুনিয়ায় আমার পছন্দের গেম বেছে নেওয়াটা বেশ কঠিন। তবে কিছু গেম আছে যা নিয়ে আমি সত্যিই খুব উত্তেজিত। এই গেমগুলো শুধু তাদের গেমপ্লে বা গ্রাফিক্সের জন্য নয়, বরং যে অভিজ্ঞতা তারা অফার করে তার জন্য আমার মনে জায়গা করে নিয়েছে। আমি সবসময় নতুন কিছু চেষ্টা করতে পছন্দ করি, আর এই গেমগুলো ঠিক সেই সুযোগটাই দিচ্ছে।
কেন Call of Duty: Black Ops 6 আমার প্রথম পছন্দ?
আমার কাছে Call of Duty সবসময়ই একটা বিশেষ জায়গা ধরে রাখে। এর প্রতিটি কিস্তিই নতুন কিছু না কিছু নিয়ে আসে। Black Ops 6 নিয়ে আমার উত্তেজনা তুঙ্গে, কারণ এই সিরিজের গল্পগুলো সবসময়ই গভীর আর চরিত্রগুলো মনে রাখার মতো হয়। মাল্টিপ্লেয়ারে বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতার মজা, নতুন অস্ত্র আনলক করা, আর চ্যালেঞ্জগুলো সম্পূর্ণ করা—এগুলো আমার গেমিংয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি বিশ্বাস করি, Black Ops 6-ও সেই ঐতিহ্য ধরে রাখবে এবং আমাদের আরও অনেক গেমিং আড্ডা উপহার দেবে।
Unrecord এবং Bodycam: বাস্তবতার নতুন দিগন্তে ডুব
Unrecord এবং Bodycam-এর বডি-ক্যাম অভিজ্ঞতা আমাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, এই গেমগুলো আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে। এই ধরনের বাস্তবসম্মত গেমপ্লে আগে কখনো দেখিনি। প্রতিটি শট, প্রতিটি নড়াচড়া এত বাস্তব মনে হয় যে মনে হয় যেন আমি নিজেই সেই যুদ্ধক্ষেত্রে আছি। আমি জানি এই গেমগুলো খেলার সময় আমার হার্টবিট অনেক ফাস্ট হয়ে যাবে, তবে এই টানটান উত্তেজনাটাই তো FPS গেমের আসল মজা!
আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এই গেমগুলো হাতে পাওয়ার জন্য।
ভবিষ্যতের FPS ট্রেন্ড: কী আসছে গেমিং জগতে?
FPS জেনার প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে, এবং আগামীতে আরও অনেক নতুন ট্রেন্ড আমরা দেখতে পাব। Artificial Intelligence (AI) এর উন্নত ব্যবহার, ক্লাউড গেমিং, এবং আরও ইমার্সিভ গল্পের ধারা FPS গেমগুলোকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে আমরা এমন গেম দেখব যেখানে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো গল্পের উপর আরও বেশি প্রভাব ফেলবে, এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা হবে অনন্য। এছাড়াও, VR এবং AR (Augmented Reality) প্রযুক্তির আরও বেশি ব্যবহার FPS গেমিংকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলবে।
AI এবং গেমিং: বুদ্ধিমান শত্রুদের মুখোমুখি
ভবিষ্যতের FPS গেমগুলোতে আমরা আরও বুদ্ধিমান AI দেখতে পাব, যা খেলোয়াড়দেরকে আরও চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা দেবে। শত্রুরা শুধু গুলিই করবে না, বরং কৌশল ব্যবহার করবে, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, এবং আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করবে। এটি গেমপ্লেকে আরও গতিশীল আর উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলবে। আমি মনে করি, এই ধরনের উন্নত AI গেমারদেরকে নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়াতে উৎসাহিত করবে।
ক্রস-প্ল্যাটফর্ম গেমিংয়ের বিস্তার
ক্রস-প্ল্যাটফর্ম গেমিং FPS জেনারের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করছে। এখন প্লেস্টেশন, এক্সবক্স, পিসি, এমনকি মোবাইল প্ল্যাটফর্মের খেলোয়াড়রাও একসাথে খেলতে পারছে। এটি গেমারদের মধ্যে সংযোগ বাড়ায় এবং মাল্টিপ্লেয়ার কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। আমার মতে, এটি FPS গেমগুলোর জন্য খুবই ইতিবাচক একটি দিক, কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বন্ধুদের সাথে যেকোনো প্ল্যাটফর্মেই একসাথে খেলতে পারব।গেমার বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?
আমি জানি, নতুন গেমের খবর শুনলেই সবার চোখ চকচক করে ওঠে! বিশেষ করে ফার্স্ট পার্সন শুটার (FPS) গেমের উন্মাদনা তো অন্যরকম, তাই না? আজকাল গেমের গ্রাফিক্স আর গল্পের ধারা এতটাই উন্নত হচ্ছে যে, মনে হয় যেন সত্যিই আমরা সেই দুনিয়ার অংশ হয়ে গেছি। আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর মতো শক্তিশালী প্রযুক্তি গেমের ভিজ্যুয়ালকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে যা আগে ভাবাই যেত না।আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখন কোনো নতুন FPS গেম আসে, তখন শুধু বন্দুক চালানো আর শত্রুদের শেষ করাই নয়, বরং গেমের ভেতরের কৌশল, টিমওয়ার্ক আর টানটান উত্তেজনাটাই আসল মজা। নতুন ব্যাটেল রয়্যাল মোড, কৌশলগত শুটার, এমনকি ক্লাসিক Doom-এর মতো ধুন্ধুমার অ্যাকশন—সবকিছু মিলিয়ে এই জেনারটা যেন প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে সাজাচ্ছে। সম্প্রতি, আমি দেখেছি Unrecord-এর মতো গেমগুলি বডি-ক্যাম স্টাইলের মাধ্যমে এক অন্যরকম বাস্তবতা নিয়ে আসছে, যা গেমারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরও অনেক চমকপ্রদ গেম আসার কথা, যা আমাদের গেমিং অভিজ্ঞতাকে একেবারেই বদলে দেবে। এসব গেমের রিলিজ ডেট, বিশেষ ফিচার আর কোন প্ল্যাটফর্মে কী থাকছে, তা জানতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে আছেন?
তাহলে, আর দেরি কেন? নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন, কোন FPS গেমগুলো আসছে, কী কী নতুনত্ব নিয়ে আসছে, আর আপনার পছন্দের তালিকায় কোনগুলো রাখা উচিত!
প্রতীক্ষিত FPS টাইটেলগুলো আসছে
নতুন FPS গেম মানেই গেমারদের মধ্যে এক দারুণ উত্তেজনা। ২০২৩ সাল থেকেই আমরা এমন অনেক দুর্দান্ত টাইটেলের ঘোষণা দেখেছি, যা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে রিলিজ পেতে চলেছে। আমার তো মনে হয়, এই গেমগুলো গেমিং দুনিয়ায় নতুন একটা ঢেউ নিয়ে আসবে। Call of Duty: Black Ops 6 সেই তালিকার একদম উপরের দিকে আছে, কারণ Call of Duty সিরিজের গেমগুলো সবসময়ই একটা অন্যরকম মান বজায় রাখে। এর টানটান স্টোরিলাইন আর মাল্টিপ্লেয়ার মোড বরাবরই মন ছুঁয়ে যায়। Witchfire-ও বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে, কারণ এর ডার্ক ফ্যান্টাসি সেটিং আর Roguelite এলিমেন্টস গেমপ্লেকে নতুন মাত্রা দেবে। এই গেমগুলো শুধু গ্রাফিক্স বা বন্দুকের ধরন নিয়ে আসে না, বরং নতুন গল্প, নতুন চ্যালেঞ্জ আর এমন কিছু অভিজ্ঞতা দেয় যা আমাদেরকে আরও গভীর ভাবে গেমিংয়ের জগতে ডুবিয়ে দেয়। আমার ব্যক্তিগতভাবে যখন কোনো নতুন CoD গেম আসে, তখন আমার বন্ধুরা আর আমি মিলে রাত জেগে মিশন শেষ করি আর মাল্টিপ্লেয়ারে ঘণ্টা পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিই। এবারের Black Ops 6-ও সেই উন্মাদনা আরও বাড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।
Call of Duty: Black Ops 6-এর নতুন কী আছে?
এই গেমটি নিয়ে উন্মাদনা চরম পর্যায়ে। শোনা যাচ্ছে, Black Ops 6 তাদের চিরাচরিত যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আরও গভীর গল্প নিয়ে আসছে। আমি যখন প্রথম ট্রেলারটা দেখেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল যেন একটা সিনেমার অ্যাকশন সিকোয়েন্স দেখছি। গেমপ্লে মেকানিক্স আরও স্মুথ করা হয়েছে, এবং এর মাল্টিপ্লেয়ার মোডেও কিছু নতুনত্ব থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমি জানি, CoD ফ্যানরা সবসময়ই নতুন ম্যাপ আর অস্ত্রশস্ত্রের জন্য অপেক্ষা করে, আর Black Ops 6 সেই দিক থেকে হতাশ করবে না বলেই আমার ধারণা। আমার মনে হয়, তারা এবার আরও বেশি কৌশলগত দিক যোগ করবে, যা টিমওয়ার্ককে আরও বেশি গুরুত্ব দেবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি নতুন জম্বি মোডের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, কারণ Black Ops সিরিজের জম্বি মোডগুলো সবসময়ই অনন্য হয়।
Doom: The Dark Ages এবং Ferocious-এর ভয়ংকর দুনিয়া

যারা ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর দানবদের ধ্বংস করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য Doom: The Dark Ages হবে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। Doom সিরিজের গেমগুলো সবসময়ই তাদের দ্রুত গতির গেমপ্লে আর ভারী অস্ত্রের জন্য বিখ্যাত। আমার মনে আছে, Doom Eternal খেলার সময় প্রতিটি শট কতটা সন্তুষ্টি দিত!
The Dark Ages-ও সেই ঐতিহ্য ধরে রাখবে বলে মনে হচ্ছে, যেখানে মধ্যযুগীয় এবং ফ্যান্টাসি উপাদানগুলো মিলে এক নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা দেবে। অন্যদিকে, Ferocious একটি ডাইনোসরের যুগে সেট করা গেম, যা খেলোয়াড়দের অ্যাডভেঞ্চার আর সারভাইভালের এক দারুণ চ্যালেঞ্জ দেবে। এই ধরনের গেমগুলোতে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়া এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে টিকে থাকার কৌশলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
কৌশল ও টিকে থাকার লড়াই: নতুনত্বের ছোঁয়া
আজকাল শুধু বন্দুক নিয়ে দৌড়ানোই নয়, গেমে কৌশল আর টিকে থাকার ক্ষমতাও খুব জরুরি হয়ে উঠেছে। Unrecord এবং Bodycam-এর মতো গেমগুলো যেভাবে বাস্তবসম্মত বডি-ক্যাম স্টাইল নিয়ে আসছে, তা দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল যেন সত্যিই একজন পুলিশের হেলমেট-ক্যামেরা দিয়ে খেলা দেখছি!
এই নতুন মেকানিক্সগুলো গেমিংকে অন্য এক স্তরে নিয়ে গেছে, যেখানে প্রতিটি কোণার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিপদ যেন আরও বাস্তব মনে হয়। Gray Zone Warfare-এর মতো Tactical Extraction Shooter গুলো খেলোয়াড়দেরকে মিশন শেষ করার পাশাপাশি নিজেদের জিনিসপত্র সুরক্ষিত রেখে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ দেয়, যা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।
Unrecord এবং Bodycam: বাস্তবতার নতুন সংজ্ঞা
এই গেমগুলো তাদের বডি-ক্যাম দৃষ্টিকোণ দিয়ে গেমিং জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আমি যখন প্রথম Unrecord-এর ফুটেজ দেখেছিলাম, তখন আমার বন্ধুদের সাথে বাজি ধরেছিলাম যে এটা কি আসল কোনো ফুটেজ নাকি গেম। গ্রাফিক্স এতই বাস্তবসম্মত যে পার্থক্য করা মুশকিল। গেমপ্লেতে খেলোয়াড়দেরকে খুব সতর্ক থাকতে হয়, কারণ এক মিনিটের ভুলই আপনাকে শেষ করে দিতে পারে। Bodycam-ও একই ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি বুলেট যেন বাস্তবতার কাছাকাছি। এই গেমগুলো খেলার সময় মনে হয় যেন একজন সৈনিকের বুটের শব্দও শুনতে পাচ্ছি, যা গেমে সম্পূর্ণভাবে ডুবে যেতে সাহায্য করে। এই ধরনের গেম খেললে অ্যাড্রেনালিন রাশ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক!
Gray Zone Warfare: কৌশলগত উত্তোলনের রোমাঞ্চ
Gray Zone Warfare একটি Tactical Extraction Shooter, যা খেলোয়াড়দেরকে শুধু লড়াইয়ের জন্য নয়, বরং বুদ্ধিমত্তা আর কৌশল ব্যবহার করে মিশন শেষ করার জন্য উৎসাহিত করে। এই ধরনের গেমগুলোতে টিকে থাকার জন্য টিমওয়ার্ক এবং নিজেদের লুণ্ঠিত সামগ্রী নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াটাই আসল চ্যালেঞ্জ। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এই ধরনের গেমগুলোতে ছোট ছোট ভুলও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই, প্রতিটি পদক্ষেপ ভেবেচিন্তে নিতে হয়। গেমের পরিবেশও এতটাই বাস্তবসম্মত যে প্রতিটি এনকাউন্টারেই একটি টানটান উত্তেজনা থাকে।
অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর ক্ষমতা: ভিজ্যুয়াল বিপ্লব
বর্তমান গেমিংয়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫ (Unreal Engine 5)। এই ইঞ্জিন গেমের গ্রাফিক্সকে এতটাই উন্নত করেছে যে, মনে হয় যেন আমরা বাস্তব কোনো পরিবেশে প্রবেশ করেছি। Lumina, Nanite, Metahumans-এর মতো প্রযুক্তিগুলো গেমিং গ্রাফিক্সকে কল্পনার বাইরে নিয়ে গেছে। Lost Fragment, Industria 2, এবং Stalker 2 Heart of Chornobyl-এর মতো আসন্ন গেমগুলো এই ইঞ্জিনের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করছে, যা দেখে যেকোনো গেমারের মন মুগ্ধ হয়ে যাবে। আমার মনে আছে, যখন প্রথম Unreal Engine 5-এর ডেমো দেখেছিলাম, তখন বিশ্বাসই করতে পারিনি যে গেমের গ্রাফিক্স এতটা সুন্দর হতে পারে।
নেক্সট-জেন গ্রাফিক্সের দুনিয়ায়: Lost Fragment ও Industria 2
Lost Fragment এমন একটি গেম যা অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর ক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে। এর বিস্তারিত পরিবেশ, আলোর সঠিক ব্যবহার এবং বাস্তবসম্মত টেক্সচারগুলো গেমারদেরকে এক অন্যরকম ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেবে। Industria 2-ও এই ধারায় এগিয়ে আছে, যেখানে এক সাইন্স-ফিকশন জগতে খেলোয়াড়রা এক দারুণ রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চারের মুখোমুখি হবেন। এই গেমগুলোর ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি এতটাই ভালো যে, প্রতিটি দৃশ্যই যেন এক শিল্পকর্মের মতো মনে হয়। আমি নিশ্চিত, এই গেমগুলো খেলার সময় আমরা গ্রাফিক্স দেখে বারবার চমকে উঠব।
Stalker 2 Heart of Chornobyl: এক ভয়ংকর বাস্তবতার প্রতিফলন
Stalker 2 Heart of Chornobyl একটি পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপ্টিক পরিবেশে সেট করা গেম, যা অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। গেমের গ্রাফিক্স এতটাই ডিটেইলড যে চেরনোবিলের ভয়াবহ পরিবেশটা যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এই গেমটিতে ভয়ংকর মিউট্যান্ট এবং বিপজ্জনক অনিয়মের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। আমি জানি, এই ধরনের সার্ভাইভাল হরর গেমগুলো আমাকে কতটা টেনশনে রাখে। প্রতিটি পদক্ষেপে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, কারণ ভুল করলে মৃত্যুর হাতছানি। এই গেমটি শুধুমাত্র গ্রাফিক্সের জন্য নয়, এর গা ছমছমে পরিবেশ আর টানটান গল্পের জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ব্যাটেল রয়্যাল এবং টিমভিত্তিক কৌশল
ব্যাটেল রয়্যাল জেনারটি এখনও গেমিং জগতে রাজত্ব করছে, এবং নতুন নতুন গেমগুলো এই ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করছে। Delta Force-এর মতো কৌশলগত শুটারগুলো মাল্টিপ্লেয়ারে দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ধরনের গেমগুলোতে একা বা বন্ধুদের সাথে মিলে খেলার মজাটাই অন্যরকম। এছাড়াও, Killing Floor 3-এর মতো কো-অপ শুটার গেমগুলোও টিমওয়ার্কের গুরুত্ব বাড়ায়, যেখানে বন্ধুদের সাথে মিলে অসংখ্য দানবদের মোকাবেলা করতে হয়।
Delta Force: হক অপস – নতুন ব্যাটেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জ
Delta Force: Hawk Ops গেমটি ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি নতুন অধ্যায়, যা ব্যাটেল রয়্যাল এবং কৌশলগত মিশন উভয়ই নিয়ে আসছে। আমি যখন প্রথম Delta Force সিরিজের গেমগুলো খেলতাম, তখন এর বাস্তবসম্মত সামরিক অভিযানগুলো আমাকে মুগ্ধ করত। Hawk Ops-ও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা দেবে। এর মাল্টিপ্লেয়ার মোডগুলো আরও বেশি রোমাঞ্চকর হবে বলে আমার ধারণা, যেখানে খেলোয়াড়দেরকে নিজেদের কৌশল আর দক্ষতা ব্যবহার করে টিকে থাকতে হবে। এটি ফ্রি-টু-প্লে হবে, যা আরও বেশি খেলোয়াড়কে আকৃষ্ট করবে বলে মনে হয়।
Killing Floor 3: দলগতভাবে দানব বধের উৎসব
Killing Floor 3 হল একটি কো-অপ ফার্স্ট পার্সন শুটার, যেখানে বন্ধুদের সাথে মিলে জম্বিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। এই সিরিজের গেমগুলো সবসময়ই তাদের ভয়ংকর দানব আর অস্ত্রের বিশাল সংগ্রহের জন্য পরিচিত। আমি এই সিরিজের আগের গেমগুলো অনেক খেলেছি, আর প্রতিবারই বন্ধুদের সাথে মিলে একসাথে কাজ করার মজাটা অনুভব করেছি। Killing Floor 3-ও একই রকম অভিজ্ঞতা দেবে, তবে আরও উন্নত গ্রাফিক্স এবং নতুন ধরনের দানবদের সাথে। দলগতভাবে খেলা এবং একে অপরের পাশে থেকে লড়াই করা এই গেমের আসল মজা।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে FPS: বাস্তবতার কাছাকাছি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) গেমিং FPS জেনারকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। VR হেডসেট পরে যখন কোনো FPS গেম খেলা হয়, তখন মনে হয় যেন সত্যিই আমরা সেই গেমের ভেতরে আছি। Vail VR এবং FPS Enhanced Reality-এর মতো গেমগুলো VR-এ ফার্স্ট পার্সন শুটারের অভিজ্ঞতাকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলছে। এই ধরনের গেমে চলাফেরা, গুলি চালানো, এবং শত্রুদের মোকাবেলা করা—সবকিছুই অন্যরকম অনুভূতি দেয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, VR FPS খেলার সময় অ্যাড্রেনালিন রাশ এতটাই বেশি হয় যে মনে হয় যেন সত্যিই যুদ্ধের ময়দানে আছি।
Vail VR: প্রতিযোগিতামূলক VR শুটারের ভবিষ্যত
Vail VR একটি প্রতিযোগিতামূলক VR FPS গেম, যা VR গেমিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের আশাবাদী করে তোলে। এই গেমে বাস্তবসম্মত গানপ্লে মেকানিক্স এবং গভীর কৌশলগত উপাদান রয়েছে, যা খেলোয়াড়দেরকে এক সত্যিকারের প্রতিযোগিতামূলক অভিজ্ঞতা দেবে। আমি যখন VR-এ FPS খেলি, তখন বন্দুকের রিকোয়েল আর চারপাশের শব্দগুলো এতটাই বাস্তব মনে হয় যে, মাঝে মাঝে ভুলে যাই এটা একটা গেম। Vail VR সেই অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে বলেই আমার ধারণা।
FPS Enhanced Reality: আপনার ঘরই যুদ্ধক্ষেত্র
Meta Quest প্ল্যাটফর্মে FPS Enhanced Reality গেমটি আপনার নিজের ঘরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। Mixed Reality প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই গেমটি আপনার চারপাশের পরিবেশের সাথে ভার্চুয়াল উপাদানগুলোকে মিশিয়ে দেয়, যা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়। কল্পনার করুন, আপনার বসার ঘরের ভেতরেই রোবট বা সৈনিকদের সাথে লড়াই করছেন!
এটা সত্যিই দারুণ একটা ব্যাপার, যেখানে গেমাররা নতুন ধরনের ইমার্সিভ অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
মোবাইল FPS গেমিং: হাতের মুঠোয় অ্যাকশন
মোবাইল গেমিং প্ল্যাটফর্মেও FPS গেমের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। স্মার্টফোনে উন্নত গ্রাফিক্স আর টাচস্ক্রিন কন্ট্রোলের মাধ্যমে এখন অনেক দারুণ FPS গেম খেলা যায়। Call of Duty: Mobile, Free Fire, PUBG Mobile-এর মতো গেমগুলো ইতিমধ্যেই মোবাইল গেমিংয়ে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে।
মোবাইল প্ল্যাটফর্মে FPS এর বিস্তার
মোবাইল FPS গেমগুলো এখন শুধু সময় কাটানোর জন্য নয়, বরং প্রতিযোগিতামূলক ই-স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও জনপ্রিয় হচ্ছে। নতুন নতুন গেমগুলো আরও উন্নত গ্রাফিক্স, স্মুথ গেমপ্লে এবং নতুন মোড নিয়ে আসছে, যা মোবাইল গেমারদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করছে। এই গেমগুলো খেলার সময় আমি প্রায়ই অবাক হয়ে যাই যে কীভাবে এত ছোট ডিভাইসে এত শক্তিশালী গ্রাফিক্স আর দ্রুত গেমপ্লে উপভোগ করা যায়।
| গেমের নাম | জেনর | প্রত্যাশিত রিলিজ | বিশেষ ফিচার |
|---|---|---|---|
| Call of Duty: Black Ops 6 | ফার্স্ট পার্সন শুটার | ২০২৪ (অক্টোবর) | গভীর স্টোরিলাইন, উন্নত মাল্টিপ্লেয়ার |
| Witchfire | ডার্ক ফ্যান্টাসি, Roguelite FPS | ২০২৪ (সেপ্টেম্বর) | ম্যাজিক ও বন্দুকের মিশ্রণ |
| Gray Zone Warfare | কৌশলগত নিষ্কাশন শুটার | ২০২৪ (এপ্রিল, Early Access) | বাস্তবসম্মত কৌশল, PvPvE |
| Stalker 2 Heart of Chornobyl | পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপ্টিক সার্ভাইভাল FPS | ২০২৫ | অ্যানরিয়েল ইঞ্জিন ৫ গ্রাফিক্স, গা ছমছমে পরিবেশ |
| Delta Force: Hawk Ops | ব্যাটেল রয়্যাল, ট্যাকটিক্যাল শুটার | ২০২৫ | ফ্রি-টু-প্লে, সামরিক অভিযান |
আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকা: যা নিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি উত্তেজিত
FPS গেমের এই বিশাল দুনিয়ায় আমার পছন্দের গেম বেছে নেওয়াটা বেশ কঠিন। তবে কিছু গেম আছে যা নিয়ে আমি সত্যিই খুব উত্তেজিত। এই গেমগুলো শুধু তাদের গেমপ্লে বা গ্রাফিক্সের জন্য নয়, বরং যে অভিজ্ঞতা তারা অফার করে তার জন্য আমার মনে জায়গা করে নিয়েছে। আমি সবসময় নতুন কিছু চেষ্টা করতে পছন্দ করি, আর এই গেমগুলো ঠিক সেই সুযোগটাই দিচ্ছে।
কেন Call of Duty: Black Ops 6 আমার প্রথম পছন্দ?
আমার কাছে Call of Duty সবসময়ই একটা বিশেষ জায়গা ধরে রাখে। এর প্রতিটি কিস্তিই নতুন কিছু না কিছু নিয়ে আসে। Black Ops 6 নিয়ে আমার উত্তেজনা তুঙ্গে, কারণ এই সিরিজের গল্পগুলো সবসময়ই গভীর আর চরিত্রগুলো মনে রাখার মতো হয়। মাল্টিপ্লেয়ারে বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতার মজা, নতুন অস্ত্র আনলক করা, আর চ্যালেঞ্জগুলো সম্পূর্ণ করা—এগুলো আমার গেমিংয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি বিশ্বাস করি, Black Ops 6-ও সেই ঐতিহ্য ধরে রাখবে এবং আমাদের আরও অনেক গেমিং আড্ডা উপহার দেবে।
Unrecord এবং Bodycam: বাস্তবতার নতুন দিগন্তে ডুব
Unrecord এবং Bodycam-এর বডি-ক্যাম অভিজ্ঞতা আমাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, এই গেমগুলো আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে। এই ধরনের বাস্তবসম্মত গেমপ্লে আগে কখনো দেখিনি। প্রতিটি শট, প্রতিটি নড়াচড়া এত বাস্তব মনে হয় যে মনে হয় যেন আমি নিজেই সেই যুদ্ধক্ষেত্রে আছি। আমি জানি এই গেমগুলো খেলার সময় আমার হার্টবিট অনেক ফাস্ট হয়ে যাবে, তবে এই টানটান উত্তেজনাটাই তো FPS গেমের আসল মজা!
আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এই গেমগুলো হাতে পাওয়ার জন্য।
ভবিষ্যতের FPS ট্রেন্ড: কী আসছে গেমিং জগতে?
FPS জেনার প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে, এবং আগামীতে আরও অনেক নতুন ট্রেন্ড আমরা দেখতে পাব। Artificial Intelligence (AI) এর উন্নত ব্যবহার, ক্লাউড গেমিং, এবং আরও ইমার্সিভ গল্পের ধারা FPS গেমগুলোকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে আমরা এমন গেম দেখব যেখানে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো গল্পের উপর আরও বেশি প্রভাব ফেলবে, এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা হবে অনন্য। এছাড়াও, VR এবং AR (Augmented Reality) প্রযুক্তির আরও বেশি ব্যবহার FPS গেমিংকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলবে।
AI এবং গেমিং: বুদ্ধিমান শত্রুদের মুখোমুখি
ভবিষ্যতের FPS গেমগুলোতে আমরা আরও বুদ্ধিমান AI দেখতে পাব, যা খেলোয়াড়দেরকে আরও চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা দেবে। শত্রুরা শুধু গুলিই করবে না, বরং কৌশল ব্যবহার করবে, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করবে, এবং আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করবে। এটি গেমপ্লেকে আরও গতিশীল আর উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলবে। আমি মনে করি, এই ধরনের উন্নত AI গেমারদেরকে নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়াতে উৎসাহিত করবে।
ক্রস-প্ল্যাটফর্ম গেমিংয়ের বিস্তার
ক্রস-প্ল্যাটফর্ম গেমিং FPS জেনারের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করছে। এখন প্লেস্টেশন, এক্সবক্স, পিসি, এমনকি মোবাইল প্ল্যাটফর্মের খেলোয়াড়রাও একসাথে খেলতে পারছে। এটি গেমারদের মধ্যে সংযোগ বাড়ায় এবং মাল্টিপ্লেয়ার কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। আমার মতে, এটি FPS গেমগুলোর জন্য খুবই ইতিবাচক একটি দিক, কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বন্ধুদের সাথে যেকোনো প্ল্যাটফর্মেই একসাথে খেলতে পারব।
গেমের উন্মাদনার শেষ নেই
আমার গেমিং জার্নিতে FPS গেমগুলো সবসময়ই এক বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া আর ডেভেলপারদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় এই জেনারটা প্রতিনিয়ত আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর বাস্তবসম্মত গ্রাফিক্স থেকে শুরু করে বডি-ক্যাম স্টাইলের গেমপ্লে, VR-এর অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা, এমনকি মোবাইলেও হাতের মুঠোয় অ্যাকশনের উন্মাদনা—সবকিছুই প্রমাণ করে যে FPS গেমের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। আমি নিশ্চিত, আগামী দিনগুলোতে আমরা আরও অনেক চমকপ্রদ গেম দেখতে পাব যা আমাদের গেমিং অভিজ্ঞতাকে একেবারেই বদলে দেবে। এই যাত্রায় আপনারাও আমার সাথে থাকুন, নতুন নতুন গেমের খবর আর টিপস নিয়ে আমি আবার হাজির হব!
জেনে রাখা ভালো কিছু তথ্য
১. সর্বদা আপডেটেড থাকুন: নতুন FPS গেমগুলির রিলিজ ডেট, আর্লি এক্সেস, এবং বিশেষ ইভেন্টগুলি সম্পর্কে নিয়মিত খবর রাখুন। বিভিন্ন গেমিং ওয়েবসাইট, ফোরাম, এবং ইউটিউব চ্যানেল ফলো করলে আপনি সবার আগে সব তথ্য পেয়ে যাবেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, সঠিক সময়ে তথ্য জানা থাকলে পছন্দের গেমের প্রি-অর্ডার বা বেটা টেস্টিংয়ে অংশ নেওয়া যায়, যা খুবই আনন্দদায়ক।
২. সঠিক হার্ডওয়্যার বেছে নিন: FPS গেমের সেরা অভিজ্ঞতা পেতে হলে আপনার পিসি বা কনসোলের হার্ডওয়্যার যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হবে। গ্রাফিক্স কার্ড, প্রসেসর, এবং র্যামের দিকে বিশেষ নজর দিন। উচ্চ রিফ্রেশ রেটের মনিটর এবং রেসপনসিভ মাউস-কীবোর্ড আপনার গেমপ্লেকে আরও স্মুথ করে তুলবে। আমি নিজে যখন প্রথম একটা গেমিং পিসি অ্যাসেম্বল করেছিলাম, তখন মনে হয়েছিল যেন নতুন একটা দুনিয়ায় প্রবেশ করেছি!
৩. টিমওয়ার্কের গুরুত্ব বুঝুন: ব্যাটেল রয়্যাল বা ট্যাকটিক্যাল শুটারের মতো গেমগুলিতে একা জেতা প্রায় অসম্ভব। বন্ধুদের সাথে দলবদ্ধ হয়ে খেলুন এবং নিজেদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখুন। একজন ভালো টিমমেট হওয়া কেবল খেলার মজা বাড়ায় না, বরং জয়ের সম্ভাবনাও অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আমার বন্ধুরা আর আমি যখন স্কোয়াডে খেলি, তখন আমাদের মধ্যে একটা অদ্ভুত বোঝাপড়া কাজ করে, যা বারবার আমাদের জিততে সাহায্য করে।
৪. গেমের কৌশল রপ্ত করুন: শুধু গুলি চালানোই নয়, প্রতিটি FPS গেমের নিজস্ব কৌশল এবং মেকানিক্স থাকে। ম্যাপের প্রতিটি কোণা, কভার পজিশন, এবং অস্ত্রের ধরন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখুন। পেশাদার গেমারদের স্ট্রিম দেখে বা টিউটোরিয়াল ফলো করে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারেন। আমি নিজেও অনেক সময় নতুন গেমের কৌশল আয়ত্ত করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করি, আর যখন তা কাজে লাগে, তখন তার আনন্দই আলাদা।
৫. মানসিক বিরতি নিন: দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেললে শরীর ও মনে ক্লান্তি আসতে পারে। নিয়মিত বিরতি নিন এবং চোখ ও মনকে বিশ্রাম দিন। এটি কেবল আপনার পারফরম্যান্সকেই উন্নত করবে না, বরং গেমিং অভিজ্ঞতাকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে। মনে রাখবেন, গেমিং একটি বিনোদন, তাই সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে খেলাটাই আসল!
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সংক্ষেপে
আজকের পোস্টে আমরা FPS গেমের এক বিস্তৃত দুনিয়ায় ডুব দিয়েছি, যেখানে দেখেছি এর বর্তমান এবং ভবিষ্যতের এক দারুণ চিত্র। Call of Duty: Black Ops 6, Witchfire, Doom: The Dark Ages, এবং Gray Zone Warfare-এর মতো আসন্ন গেমগুলি গেমিংয়ে নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে। Unreal Engine 5-এর অবিশ্বাস্য গ্রাফিক্স ক্ষমতা Lost Fragment, Industria 2, এবং Stalker 2-এর মতো গেমগুলিকে এক নতুন ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দিচ্ছে, যা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। বডি-ক্যাম স্টাইলের Unrecord ও Bodycam বাস্তবতাকে এতটাই কাছাকাছি নিয়ে এসেছে যে মাঝে মাঝে আসল আর গেমের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এছাড়াও, Delta Force: Hawk Ops-এর মতো ব্যাটেল রয়্যাল এবং Killing Floor 3-এর মতো কো-অপ গেমগুলি দলবদ্ধ খেলার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। VR প্ল্যাটফর্মে Vail VR এবং FPS Enhanced Reality গেমগুলি VR-এর মাধ্যমে FPS অভিজ্ঞতাকে আরও বাস্তবসম্মত করে তুলছে। এমনকি মোবাইল প্ল্যাটফর্মেও FPS গেমের দাপট বাড়ছে, যা আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসছে অ্যাকশনের এক দারুণ দুনিয়া। ভবিষ্যতে AI-এর উন্নত ব্যবহার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম গেমিং, এবং আরও ইমার্সিভ স্টোরিলাইন FPS জেনারের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করবে বলে আমার বিশ্বাস। এই সবগুলো ট্রেন্ডই গেমারদের জন্য আরও রোমাঞ্চকর এবং বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে, যার জন্য আমি এবং আমার মতো অনেক গেমারই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে কোন নতুন FPS গেমগুলো সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত এবং কেন?
উ: গেমার হিসেবে আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে, নতুন FPS গেমের ঘোষণায় আমাদের উত্তেজনা আকাশ ছুঁয়ে যায়, বিশেষ করে যখন গেমগুলোতে দারুণ কিছু নতুনত্ব থাকে! ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে বেশ কিছু চমৎকার FPS গেম আসার কথা আছে যা আমাদের গেমিং অভিজ্ঞতাকে একেবারেই অন্য স্তরে নিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।যেমন, ‘Battlefield 6’ অক্টোবর ২০২৫-এ মুক্তি পেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই গেমটি আধুনিক সময়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে এবং এতে ব্যাটেল রয়্যাল মোডও থাকতে পারে। আমার মনে হয়, ব্যাটেলফিল্ড সিরিজের বিশাল আকারের যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা সবসময়ই দারুণ লাগে, আর এবার যদি মডার্ন সেটিংসে ব্যাটেল রয়্যাল থাকে, তাহলে তো কথাই নেই!
এছাড়াও, ‘Call of Duty: Black Ops 7’ (অন্য কোথাও Black Ops 6 হিসাবেও উল্লিখিত) নভেম্বর ২০২৫-এর দিকে আসতে পারে। Call of Duty তো আমাদের অনেকের কাছেই নস্টালজিয়ার মতো, বিশেষ করে যখন তাদের মাল্টিপ্লেয়ার আর জম্বি মোডগুলো দারুণ হয়। Black Ops 6-এর মাল্টিপ্লেয়ার আর জম্বি মোড বেশ প্রশংসিত হয়েছে, তাই নতুন কি আসছে, তা দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি.
আর ‘Doom: The Dark Ages’-এর কথা না বললেই নয়। Doom মানেই তো ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর ব্রুটাল কিল! গুজব আছে যে এই গেমটিতে ড্রাগনের উপর চড়ার মতো চমকও থাকতে পারে। একটা প্রিquel হিসেবে, এটি গেমারদের মধ্যযুগীয় আবহে এক ভিন্ন ধরনের Doom অভিজ্ঞতা দেবে বলে মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, Doom সিরিজের গেমপ্লে সবসময়ই নতুন কিছু নিয়ে আসে, তাই এটিও দারুণ কিছু হবে।এছাড়াও, ‘Borderlands 4’ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ মুক্তি পাবে। এই ল্যুটার-শুটার গেমটি তার ওয়াইল্ড অ্যাকশন, কোটি কোটি গান আর উদ্ভট কাহিনীর জন্য বিখ্যাত। নতুন ভল্ট হান্টার আর গ্র্যাপলিং-হুক মেকানিক নিয়ে এটি আরও বেশি বিশৃঙ্খল আর মজার হবে বলে আমার বিশ্বাস। ‘Killing Floor 3’ এবং ‘Splitgate 2’ এর মতো গেমগুলোও আসছে, যা হয়তো আরও ইনটেন্স শুটার অভিজ্ঞতা দেবে। ‘Ferocious’ নামে একটি নতুন সারভাইভাল FPS আসছে ২০২৫ সালে, যেখানে খেলোয়াড়দের ভাড়াটে সৈন্য এবং ডাইনোসর উভয়ের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে, যা আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫ দ্বারা চালিত এবং এর ভিজ্যুয়ালগুলি মুগ্ধ করার মতো।
প্র: আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫ এর মতো নতুন প্রযুক্তি FPS গেমগুলোকে কীভাবে বদলে দিচ্ছে?
উ: আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫ (UE5) সত্যিই গেম ডেভেলপমেন্টের দুনিয়ায় একটা বিপ্লব এনেছে, বিশেষ করে FPS গেমের ক্ষেত্রে। আমার নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই ইঞ্জিনটা গেমের গ্রাফিক্স আর ভিজ্যুয়ালের মান এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে যা আগে কল্পনাও করা যেত না।প্রথমত, নেয়ানাইট (Nanite) এবং লুমেন (Lumen) এর মতো প্রযুক্তি গেমকে অবিশ্বাস্য রকম বাস্তবসম্মত করে তুলছে। নেয়ানাইট বিলিয়ন বিলিয়ন পলিগন খুব সহজেই রেন্ডার করতে পারে, যার ফলে গেমের পরিবেশ, চরিত্র, আর অস্ত্রের ডিটেলিং এত সূক্ষ্ম হয় যে মনে হয় যেন আপনি আসল কোনো জায়গায় আছেন। আর লুমেন গ্লোবাল ইলুমিনেশন এবং রিফ্লেকশন এমনভাবে হ্যান্ডেল করে যে আলো-ছায়ার খেলা এতটাই বাস্তবসম্মত লাগে যে গেমের মধ্যে ডুবে যেতে হয়। ‘Unrecord’-এর মতো গেমগুলোতে বডি-ক্যাম স্টাইল এবং UE5-এর ব্যবহার এক অন্যরকম বাস্তবতার অনুভূতি দেয়, মনে হয় যেন আপনি সত্যিই একজন পুলিশ অফিসারের বডি-ক্যাম ফুটেজ দেখছেন। এটি এক অন্যরকম গভীরতা নিয়ে আসে গেমে, যা খেলোয়াড়কে আরও বেশি ইমারসিভ করে তোলে।তবে, এর কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। UE5 এর উন্নত ফিচারগুলো অনেক সময় হার্ডওয়্যারের উপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে কিছু গেমে FPS কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। ডেভেলপারদের জন্য অপ্টিমাইজেশন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার মনে হয়, যদি ডেভেলপাররা শুরু থেকেই লো-এন্ড হার্ডওয়্যারের কথা মাথায় রেখে গেম তৈরি করেন, তাহলে পারফরম্যান্সের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।তা সত্ত্বেও, UE5 ভবিষ্যতের FPS গেমগুলোকে আরও সুন্দর, ইমারসিভ এবং রোমাঞ্চকর করে তুলবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমি তো ভাবতেই পারছি না, আগামীতে কী সব চমক অপেক্ষা করছে!
প্র: নতুন FPS গেম বেছে নেওয়ার সময় কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত?
উ: নতুন FPS গেম বেছে নেওয়ার সময় আমাদের অনেক কিছুর দিকে খেয়াল রাখতে হয়, তাই না? একজন গেমার হিসেবে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে পারি, যা আপনার পছন্দের গেমটি খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।গেমের ধরণ (Sub-genre): FPS গেমের মধ্যেও অনেক রকম ধরণ আছে। আপনি কি ব্যাটেল রয়্যাল (যেমন: Battlefield 6), ট্যাকটিক্যাল শুটার (যেমন: Ready or Not, Falcon Fall), নাকি স্টোরি-ড্রাইভেন সিঙ্গেল-প্লেয়ার (যেমন: Doom: The Dark Ages, Atomic Heart 2) পছন্দ করেন?
নাকি ‘Borderlands 4’-এর মতো ল্যুটার-শুটার? আপনার পছন্দের স্টাইল অনুযায়ী গেম বেছে নিলে খেলতে অনেক মজা পাবেন।
প্ল্যাটফর্ম: গেমটি কোন প্ল্যাটফর্মে আসছে—PC, PlayStation 5, Xbox Series X/S, নাকি অন্য কিছু—এটা দেখে নেওয়া জরুরি। সব গেম সব প্ল্যাটফর্মে নাও আসতে পারে, অথবা রিলিজ ডেট আলাদা হতে পারে। যেমন, ‘Falcon Fall’ প্রাথমিকভাবে PC VR-এর জন্য আসছে।
রিলিজ ডেট: কিছু গেমের রিলিজ ডেট নিশ্চিত, আবার কিছু গেমের এখনও ‘TBA’ (To Be Announced) বা ‘Q1, Q4’ এর মতো কোয়ার্টার উল্লেখ করা আছে। যদি আপনি দ্রুত খেলতে চান, তাহলে নিশ্চিত রিলিজ ডেট আছে এমন গেমের দিকে নজর দিন।
ডেভেলপার এবং পাবলিশার: কিছু পরিচিত স্টুডিও বা পাবলিশার (যেমন: DICE, Treyarch, Gearbox) এর গেমগুলো সাধারণত ভালো মানের হয়। তবে, ‘Unrecord’-এর মতো নতুন আইডিয়া নিয়ে আসা ছোট স্টুডিওর গেমগুলোও মাঝে মাঝে চমক দেখায়, তাই ওপেন মাইন্ড থাকা ভালো।
গেমপ্লে মেকানিক্স এবং নতুনত্ব: গেমটিতে কী কী নতুন মেকানিক্স আছে?
যেমন, ‘Borderlands 4’-এ গ্র্যাপলিং-হুক, ‘Unrecord’-এ বডি-ক্যাম ভিউ। নতুনত্ব থাকলে গেমিং অভিজ্ঞতা আরও আকর্ষণীয় হয়। ‘FragPunk’ নামের একটি হিরো শুটার কার্ড-ভিত্তিক মেকানিক্স নিয়ে আসছে যা ম্যাচকে বিভিন্ন উপায়ে পরিবর্তন করতে পারে।
মাল্টিপ্লেয়ার/কো-অপশন: বন্ধুদের সাথে খেলতে চাইলে দেখে নিন গেমটিতে মাল্টিপ্লেয়ার বা কো-অপ মোড আছে কিনা। অনেক FPS গেমই এই ফিচারগুলো অফার করে, যা একসাথে খেলার আনন্দকে বাড়িয়ে তোলে।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস (PC গেমের ক্ষেত্রে): যদি PC-তে খেলেন, তাহলে আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন গেমটি চালানোর জন্য যথেষ্ট কিনা, তা জেনে নিতে হবে। আনরিয়েল ইঞ্জিন ৫-এর মতো শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা গেমগুলোর জন্য ভালো গ্রাফিক্স কার্ড এবং প্রসেসর প্রয়োজন হতে পারে।
আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ: আমার মনে হয়, গেমের ট্রেলার, গেমপ্লে ভিডিও এবং অন্য গেমারদের রিভিউ দেখা খুবই দরকারি। আমি প্রায়ই এসব দেখে একটা ধারণা নিয়ে নিই যে গেমটা আমার জন্য উপযুক্ত হবে কিনা। অনেক সময় আর্লি অ্যাক্সেসে গেম খেলা যায়, যা আপনাকে রিলিজের আগেই গেম সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা দিতে পারে।সবচেয়ে বড় কথা, আপনার নিজের রুচি এবং খেলার স্টাইলকে প্রাধান্য দিন। কারণ দিনশেষে, আপনি নিজে খেলে মজা পেলেই সেটাই আসল!






